বৃহস্পতিবার রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত
সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান উল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, “কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ
সংক্রান্ত প্রচারণা/গুজব মনিটরিং করার জন্য জারিকৃত পত্রে ভুলভ্রান্তি থাকায় তা কর্তৃপক্ষের
নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল করা হল।”
দেশের ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন ‘মনিটরিং’ করতে
মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদেশ জারি করে তথ্য
মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাস: গণমাধ্যমে ‘গুজব’ নজরদারিতে কর্মকর্তা বসাল সরকার
ওই আদেশ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদ
প্রকাশ করে। আদেশের কপি ফেইসবুকে তুলে ধরে এনিয়ে সমালোচনা করেন সাংবাদিকরাসহ অনেকে।
আগের আদেশে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসরিন পারভীন
সই করেছিলেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে তথ্য পেতে সব মানুষের চোখ এখন গণমাধ্যমে।
তবে সেই আদেশের বিষয়ে দুপুরে অতিরিক্ত সচিব
মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো টিভি চ্যানেলে
অপপ্রচার বা গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব
ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
“শুধু টেলিভিশন নয়, অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোও
এনিয়ে কোনো গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা তথ্য অধিদপ্তর মনিটরিং করছে।”
কোনো গণমাধ্যম নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে ‘অপপ্রচার
বা গুজব’ ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন মিজান।
তা বাতিলের আদেশে বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমসহ বিভন্ন প্রচার মাধ্যমে কভিড-১৯ বিষয়ে কোনো গুজব বা ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে
কি না, তা পর্যবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রচার মাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য
একটি সেল গঠন করা হয়। উক্ত সেলে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে
নির্দেশ দেওয়া হল।”
করোনাভাইরাস: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল
বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণা করা কভিড-১৯ রোগে
সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে মারা গেছেন ২১ হাজারের
বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে নতুন করে আরও পাঁচজনের মধ্যে নভেল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা
বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।