ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান বৃস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পিএস, পিআরও বা কোনো কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত নন। এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।”
সন্ধ্যায় শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দপ্তরের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এটা নিশ্চিত করছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ব্যক্তিগত সহকারী রাজধানীর মিরপুরের টোলারবাগ এলাকায় থাকেন।
এই সপ্তাহের প্রথম দিকে এক দিনের ব্যবধানে উত্তর টোলারবাগে দুইজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর ওই এলাকা ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান খান বলেন, “মন্ত্রীর দপ্তরের পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) টোলারবাগ এলাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে থেকে উনি অফিস করছেন না। তিনিও আক্রান্ত এমন নন। তবে টোলারবাগে যে এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি যে মসজিদে নামাজ পড়তেন, পিএ একই মসজিদে নামাজ পড়েছেন।
“এখন তো টোলারবাগ লকডাউন। তা অফিসে আসেন না পিএ। এজন্যে অনেকে মনে করতে পারেন, মন্ত্রণালয়ের কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত। আসলে তেমন কেউ নন।”
এর আগে এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
কেউ কভিড-১৯ আক্রান্ত হলে সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন আইইডিসিআরের মুখপাত্র মীরজাদী ফ্লোরা।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এই রোগের লক্ষণ-উপসর্গ বিবেচনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২০ জনকে।