জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন ‘করোনাভাইরাস পজেটিভ’ রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন।
অর্থাৎ, আক্রান্তের সংখ্যা দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন এবং প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রস্থল ইতালিকেও পেছনে ফেলেছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৮২ জন। আর ইতালিতে ৮০ হাজার ৫৮৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গতবছরের শেষে চীনের উহান থেকে নতুন এই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
নানা কঠোর পদক্ষেপ এবং জনজীবনে বিধিনিষেধ জারি করে চীন আড়াই মাসে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। কিন্তু এর মধ্যেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাকি বিশ্বে।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি বাজে পরিস্থিতি হয় ইতালিতে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইউরোপে, আফ্রিকায়, দক্ষিণ আমেরিকায় আর দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে।
মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন কেন্দ্রভূমি হিসেবে বর্ণনা করে।
কিন্তু এরপর যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। দুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রই করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠতে যাচ্ছে।
আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখনও চীন বা ইতালির চেয়ে কম।
নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু ইতালি: ৮২১৫ জন স্পেন: ৪৩৬৫ জন চীন: ৩২৯১ জন ইরান: ২২৩৪ জন ফ্রান্স: ১৬৯৮ জন যুক্তরাষ্ট্র: ১২৯০ জন |
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৭৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। কেবল বৃহস্পতিবারই ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।