বৃহস্পতিবার দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জি-২০র পদক্ষেপ কি হতে পারে তা ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ জরুরি সম্মেলনে যোগ দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সৌদি বাদশা সালমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে তারা ভাইরাসটির বিস্তৃতি রুখতে কার্যকর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নির্মাণ ও এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের বিনিয়োগ করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে মহামারী মোকাবেলায় সম্ভব সবকিছু করতে জি-২০ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেছেন এ বিশ্বনেতারা।
রয়টার্স বলছে, ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সর্বশেষ জি-২০ নেতাদের এমন ঐক্যবদ্ধ দেখা গিয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হওয়া প্রায় সব জি-২০ সম্মেলনেই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ে যে মতবিরোধ দেখা যাচ্ছিল বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে তা ছিল একেবারেই অনুপস্থিত।
এদিনের বৈঠকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো সীমান্ত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা উপকরণ ও অন্যান্য পণ্যের প্রবাহ যেন সচল থাকে তা নিশ্চিত করা এবং সাপ্লাই চেইনের সংকট মোকাবেলায় এক হওয়ার কথাও বলেছেন।
জি-২০ নেতারা আফ্রিকার বিভিন্ন ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অবস্থান করা শরণার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বৈশ্বিক আর্থিক সুরক্ষা জালের আওতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন।
“সবার জন্য দেখা দেওয়া এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়তে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট উপস্থাপনে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,” যৌথ বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জি-২০র ধীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে জোটের বর্তমান চেয়ার সৌদি আরব ভিডিও কনফারেন্সে এ সম্মেলন করার উদ্যোগ নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পরে জানান, করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবেলায় ‘অভূতপূর্ব উদ্দীপনা’ দেখিয়েছে জি-২০র ভিডিও কনফারেন্স।
হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একে অপরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার বিষয়েও জোটের সদস্যরা একমত হয়েছেন।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাদা করে কথাও বলেছেন।
“দুই নেতা মহামারীর দ্রুত অবসান ও অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সাহায্য করতে জি-২০র সঙ্গে অন্যান্য জোটের সহযোগিতার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেছেন,” বলেছে হোয়াইট হাউস।