মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকরা এই ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গুদাম থেকে ১০০ গ্লাভস, ২৭ বোতল স্যানিটাইজার ও ১০ জোড়া মাস্ক জোর করে নিয়ে যায় একদল শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে মেডিকেল সেন্টারে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকেলে একদল যুবক এসে স্টোর রুম থেকে ১০০ গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিয়ে গেছে। তারা সেখানে স্টোরকিপার জুলফিকারের সাথেও ঝামেলা করেছে।
সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, “ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন, ছাত্রলীগ মরে যাবে কি না। এসব সুরক্ষা উপকরণ তাদের দরকার, দিতে হবে। কিন্তু এসব গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার চিকিৎসকদের জন্য আমরা সংগ্রহ করেছি। অতিরিক্ত থাকলে দেওয়ার কথাও বলি। কিন্তু কয়েকজন নেতা-কর্মী জোর করে এসব নিয়ে যান।”
সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। বিকেল বেলা আমাদের ছোট ভাইরা নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছু সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এর সাথে মেডিকেল সেন্টারে সংঘটিত ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই।”
জানতে চাইলে একই কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এর সাথে যদি কারও সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে প্রশাসন যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একদল ছেলে মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কিছু গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিয়ে আসে। পরে তারা বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এবং তারা ভবিষ্যতে এমন করবে না বলেও ওয়াদা করেছে।”