ক্যাটাগরি

সাহায্যের আবেদনে সাড়া পেয়ে উদ্বেলিত সাবেক ক্রিকেটার

স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডে থাকেন ২০০৯ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ও’ব্রায়েন। মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জন্মভূমি নিউ জিল্যান্ডে। এ সময় আঘাত হানে কভিড-১৯ মহামারী।

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সবরকম যাতায়াত ব্যবস্থাই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর মাঝে ইংল্যান্ডে ফেরার জন্য ও’ব্রায়েন তিনবার কাটেন বিমানের টিকেট, তার কিছু ছিল চোখ কপালে তোলার মত ব্যয়বহুল। তারপরও ফিরতে পারেননি। একে একে তিনটি ফ্লাইটই বাতিল হয়ে যায়।

অসুস্থ স্ত্রীর কাছে ফেরাটা খুব জরুরি। এদিকে টিকেটের অর্থ ফেরত পেতে দেরি হওয়ায় ভীষণ বেকায়দায় পড়ে যান তিনি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিউ জিল্যান্ডে কাজের ক্ষেত্রও গেছে কমে। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার অনলাইনে সাহায্যের আবেদন করে একটি পেইজ খোলেন ও’ব্রায়েন।

অর্থের বিনিময়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে দাতাকে কোচিং টিপস বা ক্রিকেট বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রস্তাব দেন তিনি। তবে সবকিছুর পরও এত দ্রুত ও এতটা সাড়া পাবেন, নিজেও বুঝি ভাবেননি সাবেক এই পেসার। তাইতো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। অশ্রুভেজা চোখে জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা।

“আমি এটা আশা করিনি এবং অনেক দিক দিয়ে আমি এটা বুঝতেও পারছি না। কয়েক জন আমাকে বলেছে, ভালো মানুষের সঙ্গে ভালো কিছুই হয়। আমি এটি বুঝতে পারছি। তবে যখন এটি নিজের সঙ্গে হয় তখন ঠিক বুঝে ওঠা যায় না।”

“আমি খুব কৃতজ্ঞ…এই আইডিয়া যে কাজে লাগবে তা সত্যিই আমি ভাবিনি। তবে চেষ্টা করে দেখতে চেয়েছিলাম যে কি হয়। সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি উদ্বেলিত…আমি কয়েক ফোঁটা চোখের পানিও ফেলেছি।”

ফ্লাইট এখন খুব সীমিত হলেও দুই হাজার ২৫০ পাউন্ড খরচ করে আগামী ৫ এপ্রিল ইংল্যান্ডে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন ৪৩ বছর বয়সী ও’

ব্রায়েন। প্রয়োজনীয় ওই অর্থের বেশি পেয়েছেন তিনি; তিন হাজার ৬৬০ পাউন্ড।

ও’ব্রায়েন জানেন বাড়ি ফিরে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেটিরও উপায় ভেবে রেখেছেন তিনি; বাড়ির বাইরে একটা ক্যাম্পার ভ্যানে থেকে পরিবারকে দেখাশোনা করবেন। তার স্ত্রী ব্রিটিশ এবং ও’ব্রায়েনের দেশটিতে ‘রেসিডেনশিয়াল স্ট্যাটাস’ আছে।