শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরে চিকিৎসকদের
পিপিই বিতরণকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির
সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন একথা জানিয়েছেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “করোনাভাইরাস এখন একটি বৈশ্বিক
দুর্যোগ। এখনও আমাদের দেশে এই ভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে
উঠতে শুধু সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয়, দরকার সকলের সহযোগিতা। আমরা সবাই সচেতন হলেই
এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।”
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ফরিদপুর শহরে ২৭টি এবং
ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২টি সহযোগিতা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আপৎকালীন সময়ের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের
পক্ষ থেকে ৩০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে।
দুপুরে শহরের বদরপুরে নিজ বাসভবনে মোশাররফ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে পাঁচশ
পিপিই তুলে দেন।
এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাবে তিনশ এবং ফরিদপুর
ডায়বেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাবে দুইশ।
এ সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান,
কলেজের অধ্যক্ষ খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক
জাহাঙ্গীর হোসেন টিটো চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুগ্ন
সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে
সালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচ এম ফোয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সিভিল সার্জন সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায়
ফরিদপুরে নতুন করে ৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৬৭
জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আর কোয়ারেন্টিন সময় শেষ হওয়ায় ৮৮ জন চলে গেছেন।