জেলা সদর হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। করোনাভাইরাসের ভয়ের কারণে রোগী আসার হার কমে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেড় লাখ বাসিন্দার শহর শেরপুর ধারণ করেছে এক অচেনা রূপ। ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছেন।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খাইরুল কবীর সুমন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকলেও রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। প্রতিদিন যেখানে ২৭০/২৮০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিত, সেখানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছে ৪৯ জন। ফলে হাসপাতালের অনেক বেড ফাঁকা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা আতঙ্ক থাকায় মানুষজন হাসপাতালের সেবা নিতে কম আসছে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক কর্মকর্তা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের বাইরের ফার্মেসি ও রাস্তায় রোগীর ছোটাছুটি নেই। সেনাবাহিনীসহ জেলার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জনগণকে সচেতন করতে ঘরে থাকার জন্য প্রচারাভিযান অব্যাহত রেখেছেন। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে; বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।
শুধু জরুরি পণ্যের দোকান খোলা আছে।
জেলার সিভিল সার্জন আবুল কাশেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ বলেন, জেলায় মোট ১৩৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও ২৭ মার্চ সকাল পৌনে ৮টা পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ৬১ জনের এবং কোয়ারেন্টিন চলমান রয়েছে ৭৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন একজন।
“জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনো কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহিৃত হয়নি।”