স্বাস্থ্য
বিভাগ ও জেলা প্রশাসন জানায়, পাসপোর্ট-ভিসার ঠিকানা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা
বিদেশফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা নিশ্চিত করছেন। একই সঙ্গে তাদের
বাড়ি চিহ্নিত করে দিয়ে নজদারিতে রাখা হয়েছে; যাতে তারা ১৪ দিনের আগে বাড়ির বাইরে বের
না হন।
তবে এখনও ৯৩৭
জন নজরদারির বাইরে রয়েছে বলে সিভিল সার্জন এনামুল হক জানিয়েছেন।
এনামুল হক জানান,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী গত ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১৬৪৮
জন বিদেশ থেকে রাজশাহী এসেছেন। এদের মধ্যে ৭১১ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে।
৭১১ জন থেকে আবার হোম কোয়ারেন্টিন পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৯২ জনকে। সেই
হিসাবে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫১৯ জন।
এনামুল হক জানান,
পুলিশ ও স্বাস্ব্যকর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় খুঁজে বের করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায়
১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে এনেছেন। এছাড়াও চারঘাটে ৪৬ জন, পুঠিয়ায় ৪ জন, দুর্গাপুরে
১ জন, মোহনপুরে ২০ জন, তানোরে ৪ জন, পবায় ৮ জন এবং গোদাগাড়ীতে ৪ জনের হোম কোয়ারেন্টিন
নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাগমারা উপজেলায় ১৭ বিদেশফেরতের হদিস
নেই
রাজশাহীর বাগমারা
উপজেলায় বিদেশফেরত ১৭ ব্যক্তিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন। এদের
পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা যায়নি। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা
তাদের সন্ধানে মাঠে রয়েছে।
বাগমারা উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
তথ্যমতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ উপজেলায় বিদেশফেরত ১৯৫ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ
১৭৮ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু
১৭ জনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই।
বাগমারা থানার
ওসি আতাউর রহমান বলেন, তাদের সন্ধানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের তালিকায় ঠিকানাবিহীন এই ১৭ জনের সন্ধান পাওয়া খুবই কঠিন। এরপরও তাদের
খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
রাজশাহী জেলা
প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, বিদেশফেরতদের স্থানীয় থানাগুলোতে যোগাযোগ করার বিজ্ঞপ্তি
জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই থানায় যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন। আর যারা এখনও যোগাযোগ করেনি তাদের তালিকা দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা বাসায় গিয়ে খুঁজে বের করে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চত করা হচ্ছে। যাদের পাওয়া
যাচ্ছে না তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।