মার্কিন শিক্ষকদেরকে ‘অনলাইন শিক্ষাদান’ প্রসঙ্গে বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা দেওয়ার ব্যাপারে জানিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট খ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি। — খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের।
অনলাইনে শিক্ষাদান এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থার বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে মিশিগানের জ্যাকসন কাউন্টির চতুর্থ গ্রেডের শিক্ষক স্যামি রেব্যান্ডট বলছেন, “আমাদের স্কুলগুলোতে শিক্ষা সামগ্রী যথেষ্টই রয়েছে, কিন্তু আমরা তা বাড়ি নিয়ে আসতে পারিনি। অনেক শিক্ষকেরই ধৈর্য্য এবং বুঝার ক্ষমতা দরকার। তারা অনেকেই জানেন না যে আসলে কোন জিনিসটি প্রয়োজন বা কোন জিনিসগুলো হাতের কাছে রয়েছে।”
শুধু রেব্যান্ডট নন, আরও অনেক শিক্ষকও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আর তাই সমস্যার সমাধানে নিজ ‘শিক্ষা বিশেষজ্ঞ’-দের মাঠে নামিয়েছে অ্যাপল। ভার্চুয়াল কোচিং প্রক্রিয়ায় আলাদাভাবে এক একজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুত করে তুলতে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিরও একশ’রও বেশি শিক্ষা কর্মী।
“আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু শেখানোর পরিবর্তে রিসোর্স দিয়ে সহায়তার কথা।” কিন্তু হিসেবে সমস্যা রয়েই গেছে। “শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ফোনসহ ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে সংযুক্ত হচ্ছেন”, ফলে কোনো উপকরণ দেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হচ্ছে, তা যেন সব ডিভাইস বা ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে চলতে পারে। আবার সব শিক্ষক প্রযুক্তির এই কাজগুলোতে এতোটা পারদর্শীও নন। – ব্যাখ্যা করেছেন রেব্যান্ডট।
অ্যাপলের সহায়তা পেতে সমস্যা জানিয়ে ‘অ্যাপল প্রফেশনাল লার্নিং’-এ মেইল পাঠালেই ভার্চুয়াল সেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে অ্যাপল। মেইল পাঠাতে সমস্যা হলে, ফোন কলের মাধ্যমেও কাজটি করা সম্ভব হবে। শিক্ষকদের প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষকদের কাছ থেকে অ্যাপল টিমের কাছে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নগুলো আসছে, সেগুলোর উত্তর জানিয়ে মঙ্গলবার এক ভিডিও সংগ্রহ-ও প্রকাশ করেছে অ্যাপল। ভিডিওগুলোর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান জেনে নিতে পারবেন শিক্ষকরা।