দেশের সব জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে
দুই দফায় এই অর্থ ও চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, দ্বিতীয় দফায় শনিবার সাড়ে ছয় হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং
সম্প্রতি ২৪ হাজার ১১৭ মেট্রিন টন চাল ও সাড়ে আট কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালককে এই বরাদ্দ দেওয়া হয় জানিয়ে সচিব বলেন, তিনি ৬৪ জেলার ডিসিদের কাছে ওই
সব পৌঁছে দেন। শনিবার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা রোববার ডিসিদের হাতে পৌঁছাবে।
“সার্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর
করে বিশেষ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডিসিরা চাহিদা পাঠালে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশেষ বরাদ্দ দেব।”
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা
বলেন, ডিসিদের কাছে খাদ্যশস্যসহ নগদ টাকা সব সময়ই রাখা হয়। আপদকালীন প্রয়োজনে তারা
এগুলো ব্যবহার করেন।
চট্টগ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষদের খাবার বিতরণ
“করোনাভাইরাসের কারণে ওই বরাদ্দের
অতিরিক্ত হিসেবে নগদ টাকা এবং চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার নেওয়া
নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ
ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী
মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেটের টানে
দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যদের মারধরের শিকার
হচ্ছেন। তারপরেও বেরোনোর কারণ ব্যাখ্যায় এসব মানুষ বলছেন, ভাইরাসের ভয়ে ঘরে থাকলে না
খেয়েই মরতে হবে তাদের।
এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জায়গার
জনপ্রতিনিধি ও সহৃদয়বান ব্যক্তিরা অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার মধ্যে বিশেষ
এই পরিস্থিতি তাদের জন্য সরকারি এই বরাদ্দ দেওয়া হল।