ক্যাটাগরি

ক‌রোনাভাইরাস: ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ শেয়ার করলেও ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে সোশাল মিডিয়ায়

যখন বিচরণ বাড়িয়েছে, তখন শনিবার এক তথ্যবিবরণীতে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, “করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলাকালে যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে গুজব, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়ানো না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানোনো হচ্ছে।”

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কিংবা যে কোনো বিষয়ে কোনো রকমের তথ্য শুনলে বা সামাজিক মাধ্যমে পেলে তা যাচাই করার অনুরোধ করেছে সরকার।

“সরকারি সূত্র বা পরীক্ষিত মাধ্যম ছাড়া অন্য যে কোনো মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার বা প্রচার করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলা হয়েছে তথ্য বিবরণিতে।

‘পরীক্ষিত মাধ্যম’ বলে কী বোঝানো হয়েছে, এতে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

করোনাভাইরাস: গণমাধ্যমে ‘গুজব’ নজরদারির সেই আদেশ বাতিল
 

এই সময়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের পদক্ষেপের মধ্যে দুদিন আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ভুলভ্রান্তিময়’ এক আদেশও গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, টেলিভিশনে গুজব ছড়ানো হচ্ছে কি না, তা দেখতে কর্মকর্তা বসানো হয়েছে।

সমালোচনার মুখে সেদিনই ওই আদেশ প্রত্যাহারের সময় ভুল স্বীকার করে বলা হয়েছিল, “কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রচারণা/গুজব মনিটরিং করার জন্য জারিকৃত পত্রে ভুলভ্রান্তি থাকায় তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল করা হল।”

গুজব সম্পর্কে সচেতন থে‌কে অন্যকেও এ বিষ‌য়ে সতর্ক করতে সবার প্র‌তি আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছে সরকার।

মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রচার নজরে আসলে গুজব মোকাবেলায় ৯৯৯ নম্বর বা তথ্য অধিদপ্ত‌রের ৯৫১২২৬৪, ৯৫১৪৯৮৮ নম্ব‌রে ফোন ক‌রে এবং piddhaka@gmail.com ইমেইল ক‌রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।