বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক যে হিসাব, তাতে আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসকও আছেন। সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল হলেও স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতরা চেষ্টা করে চলেছেন। ফেইসবুকে ভিডিওবার্তায় তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
“একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের ডাক্তারগণ, আমাদের নার্সরা ও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আছেন, সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কভিড-১৯ এর মতো এই দুর্যোগ সময়ে আমরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন ও দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন, মন থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের এই মহৎ কাজে জন্য অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন ইনশাল্লাহ।”
বাংলাদেশে এখনও লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও পরিস্থিতি অনেকটা সেরকমই। বেশ কিছুদিন ধরে ঘরে সময় কাটাচ্ছেন অনেক। ঘরবন্দি থেকে অস্থির হয়ে ভুল করে ফেলতে পারেন অনেকেই। তাই সতর্ক করে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
“গতকাল রাতে একটি ভাবনা মাথায় এলো। অনেকে হয়তো এভাবে চিন্তা করতে পারি যে, আমরা এতদিন ধরে বাসায় আছি, দৈনন্দিন কাজ করছি বাসায় থেকে, টানা বাসায় থেকে একটু অবসাদ চলে আসতে পারে অনেকের। বিরক্তি লাগতে পারে। মনে হতে পারে, একটু বাসার নিচে যাই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি। সামনের মোড় থেকে হেঁটে আসি। কারও মাথায় এরকম চিন্তা এলে আমরা যেন তা ঝেরে ফেলি।”
“এই মুহূর্তে বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ও সময়ের দাবি। কারণ, যতটুকু এটা আমার ও পরিবারের জন্য, ততটুকু অন্যদের জন্যও প্রয়োজন। নিজে নিরাপদে থাকি, অন্যদেরও নিরাপদে রাখি।”
লোকজন ঘরে আটকা থকায় দিনমজুর থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষেরা যে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেটি তুলে ধরে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ করেছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।
“একটা দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, যারা শ্রমজীবী মানুষ, এই মুহূর্তে হয়তো বেকার হয়ে পড়ছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করব যে যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ও সাহায্য করার।”