এই ঘটনায় কাঁশোপাড়া
উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা
কমিটির সভাপতি আল-মামনুর রশিদ জানান।
মামনুর রশিদ
বলেন, গত ২৫ মার্চ বুধবার স্কুল ছুটির দিন সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে
প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন ওই শিক্ষক। পরে তাকে কৌশলে যৌন উত্তেজক
ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন।
তিনি বলেন,
“গত ২৫ তারিখের ঘটনাটি জানার সাথে সাথে আমি প্রধান শিক্ষককে জরুরি সভা কল করতে বলেছিলাম।
২৭ তারিখের ওই সভায় ওই শিক্ষক তার অপরাধ স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার পরবর্তী
সভায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে চাকরি থেকে অব্য্হতি দানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী
শ্রমিক আব্দুল মতিন বলেন, গত বুধবার (২৫ মার্চ) এই শিক্ষক প্রথমে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি আম গাছের নিচে কিছুক্ষণ গল্প করেন। এরপর টিন শেডের একটি খোলা
শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যান।
“এরপর আমার
সন্দেহ হলে কক্ষের খোলা জানালা দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে খারাপ অবস্থায় দেখতে পাই।”
এ সময় আরও দুই
শিক্ষক তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন বলে শ্রমিক মতিন জানান।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা
কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এই শিক্ষক এরকম কাজ বারবার
করে আসছেন। এর আগে এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীর
সাথেই তাকে বিয়ে দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু এতেও তার অভ্যাস বদলায়নি।
তিনি বলেন,
এই ঘটনায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে এক জরুরি সভার মাধ্যমে
গত শুক্রবার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কাঁশোপাড়া উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকসেদ আলী প্রামানিক বলেন, “আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে এই
শিক্ষককে ডেকে এবিষয়ে ব্যাখা চেয়েছিলাম। তিনি তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন ভবিষ্যতে
তিনি এমন কাজ আর করবেন না।”
মান্দা উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বলেন, “এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ
লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এই বিষয়ে
জানতে ওই শিক্ষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দিন শিক্ষার্থী আমার কাছে
প্রাইভেট পড়তে আসে; কিন্তু তার সঙ্গে অন্য কিছুই হয় নাই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট
অভিযোগ।”
মান্দা
থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগ করেননি।
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।