শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের এক ভাড়াবাসায় তিনি মারা যান। এক এনজিও-তে কর্মরত নিহতের স্ত্রী সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
তবে নিহত ব্যক্তির বাড়ি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের মুরইল দক্ষিণপাড়ায়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত করা হচ্ছে কেউ এই ভাইরাস আক্রান্ত কি না।
বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, “এ বিষয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ‘মৃত ব্যক্তির নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে বলেছেন’।”
এছাড়া পিপিই দিয়ে লাশ আবৃত করে দাফনের পরামর্শও দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, সে অনুযায়ী একটি চিকিৎক দল সেখানে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি ঢাকায় ব্যবসা করতেন জানিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, “ঢাকায় অবস্থানকালে ওই ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ মার্চ তার মুরইল দক্ষিণপাড়ায় তার বাড়িতে ফেরেন।
“এরপর গত শুক্রবার তার স্ত্রীর দাড়িদহ গ্রামের ভাড়াবাড়িতে যান। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্ত্রীর বাড়িতে মারা যান তিনি।
“এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে পাড়া-প্রতিবেশীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করতে শুরু করেন।
“এরপর ওই বাড়ির আশেপাশের ১০টি বাড়ি লক-ডাউন ঘোষণা করে সবার যাতায়াত বন্ধ করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশেও সরকারি হিসাবে পাঁচজন মারা গেছেন। এছাড়া আরো কয়েকজনের মৃত্যু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর হয়। তাদের কয়েকজনের নমুনাও আইইডিসিআর সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালায়।