শনিবার সদর উপজেলা প্রশাসন এ কার্যক্রম শুরু করেছে
বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান।
এর আগে একইভাবে লাল পতাকা দিয়ে বিদেশফেরতদের বাড়ি
চিহ্নিত করেছিল প্রশাসন।
ইউএনও আবু সুফিয়ান বলেন, করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা
পেতে চায়ের দোকানে আড্ডা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা অনেকে সঠিকভাবে মানছেন না।
“প্রশাসনের নজরদারি কমলেই অনেকে দোকান খুলছেন। যথারীতি
দোকানগুলোতে গিয়ে মানুষ ভিড় করছেন। শহরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গ্রামে বাজারগুলোতে
অধিকাংশ চা দোকানি এ নিদের্শনা মানছেন না।”
এ কারণে তিনি নিজে শনিবার সকালে মাগুরা পৌর এলাকার প্রায়
সব চায়ের দোকান লাল পতাকা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।
ইউএনও আরও বলেন, একইভাবে সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যানকে স্ব-স্ব এলাকার হাট-বাজারে চায়ের দোকানে লাল পতাকা বেঁধে বন্ধ করার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
“এরপরও যেসব দোকান খোলা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে; কারণ ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখা না গেলে করোনাভাইরাস মোকাবেলা
অসম্ভব হয়ে পড়বে।”
আবু সুফিয়ার আরও বলেন, দোকান বন্ধ থাকার কারণে যদি কোনো
চা দোকানি বা তার পরিবারে খাবার সঙ্কট দেখা দেয়, তাহলে উপজেলা প্রশাসনে (ইউএনওর কাছে)
অথবা স্ব-স্ব এলাকার চেয়ারম্যানদের কাছে ফোন করলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে চাল, ডাল, আলু,
তেল, লবণ পৌঁছে দেওয়া হবে।