চীনের উহান থেকে সংক্রমণ শুরু হলেও তা এখন বিশ্বের ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলে পৌছে গিয়ে ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ জনকে আক্রান্ত করেছে বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদের মধ্যে ১২০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে বলে জানাচ্ছে তারা।
শনিবার ৬৬ হাজার ৫০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ও তিন হাজার ৪৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন কাতার, নিউ জিল্যান্ড, ব্রুনেই, শ্রীলঙ্কা ও মালিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বের মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশ, পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ৩১২ জন চীনের মূলভূখণ্ডের বাইরে অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন। গেল সপ্তাহে নতুন যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশই চীনের মূলভূখণ্ডের বাইরের লোক।
এদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসএসই) এর রোববার সকালের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের ১৭৭ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে আক্রান্ত করেছে ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৬০৮৯ জনকে।
এক লাখ ২৪ হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্ত নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে দুই হাজার ১৯০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সিএসএসইয়ের তথ্যে দেখা গেছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মাত্র ১০৯৫ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ১০ হাজার ২৩ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৪৭২ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৪ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় এখন চীন আছে তৃতীয় অবস্থানে। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৫৭ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৩০৪ জন। দেশটিতে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৫৭৬ জন।
ইতালির পর ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত স্পেনে, ৭৩ হাজার ২৩৫ জন। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালির পরই আছে স্পেন, এখানে পাঁচ হাজার ৯৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৮৫ জন।
আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চম স্থানে আছে জার্মানি। এখানে মোট আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৬৯৫ জন। মৃতের সংখ্যা ৪৩৩ ও সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৪৮১ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা ফ্রান্সে রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ১০৫ আর মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৩১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭২৪ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪০৮ আর মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫১৭ জনের। সুস্থ হযেছেন ১১ হাজার ৬৭৯ জন।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩১২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১০২১ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন মাত্র ১৫১ জন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন।
সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ১৪ হাজার ৭৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জনের ও সুস্থ হয়েছেন ১৫৩০ জন।
নেদারল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ৮১৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬৪০ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন মাত্র ছয় জন।
এশিয়ায় চীন ও ইরানের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত নয় হাজার ৫৮৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৩ জন।