একই কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা। কবে নাগাদ পরিস্তিতির পরিবর্তন হবে তাও বুঝতে না পারায় তারা হতাশায় ভুগছেন।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল-মোটল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, এ জেলায় মোট ৫৭টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। সেখানে কর্মচারী সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে ১৯ মার্চ থেকে সব আবাসিক হোটেল আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মেঘলায় হলিডে ডে ইন নামে একটি রিসোর্ট
তিনি বলেন, “আবাসিক হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকায় এ খাতে দৈনিক কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতি পোষানোর সুযোগ নেই।”
আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যাংক থকে যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের সুদ মওকুফ করার দাবি জানান তিনি।
সদর উপজেলার মেঘলা এরাকার হলিডে ইন রিসোর্টের পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে তার রিসোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে তাদের ২৮ জন কর্মচারীর মধ্যে দেখাশোনা করার জন্য তিন-চার জন রেখে অন্যদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
“রিসোর্ট বন্ধ থাকায় প্রতিদিনি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তাছাড়া কবে”
একই কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত আড়াইশর মত চাঁদের গাড়ির (খোলা জিপ) শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছেন।
বান্দরবান মেঘলা পর্যটন এলাকা
জেলা জিপ-মাইক্রোবাস শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, “মৌসুম ছাড়াও প্রতিদিন তাদের দেড়শ থেকে দুইশ গাড়ি ভাড়ায় চলে। এখন পর্যটক না থাকায় পরিবহন খাতের শ্রমিকতারা সবাই বেকার।
“তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। কবে নাগাদ পরিস্তিতির পরিবর্তন হবে তাও বুঝতে না পারায় শ্রমিকরা হতাশায় ভুগছেন।”
অসহায় শ্রমিকদের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন এই শ্রমিক নেতা।