ক্যাটাগরি

ব্যক্তিগত ইচ্ছাতেই দেশে ফিরছেন নাগরিকরা: মার্কিন দূতাবাস

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সোমবার একটি বিশেষ বিমানযোগে যেসব বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরা ঢাকা থেকে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হবেন, তারা ব্যক্তিগত ইচ্ছাতেই দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। রবিবার ঢাকায় ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দূতাবাসের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে জোর করছে না। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা (প্রত্যাবাসীরা) যা জানে এবং যে পরিস্থিতিতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তার উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় এমনটা হচ্ছে।’

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে আটকা পড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যারা ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে যেতে চাচ্ছে তাদের জন্য আগামীকাল একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং মার্কিন দূতাবাস। মার্কিন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ধরণের ব্যবস্থা কেবল বাংলাদেশে হচ্ছে, তা নয়। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিশ্বের ২৮টি দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে।

কিছু কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিশেষ বিমানের যাত্রীর তালিকায় রয়েছেন উল্লেখ তিনি জানান, যে কূটনীতিকরা যাচ্ছেন, তারা তাদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যার জন্য যাচ্ছেন এবং এটি মার্কিন দূতাবাসের রুটিন কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে না। এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা এবং বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে দূতাবাসের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমি আপনাদের জানতে চাচ্ছি, যে সব গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলো সত্য নয়। এখানে বাণিজ্যিক বা সাধারণ কাজের জন্য মার্কিন দূতাবাস উন্মুক্ত থাকছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং এখানে মার্কিন দূতাবাসের দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার হলো মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাই তারা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের জন্য সব ধরণের সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি।

মোট যাত্রীর সংখ্যা নিশ্চিত না করে মুখপাত্র বলেন, বিমানটি পরিপূর্ণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও চার্টার্ড বিমান আসার আর কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত করেনি। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা সংক্রামিত মানুষ রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৭ জন এবং এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন মারা গেছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি