রোববার প্রি-পেইড
মিটারের কার্ড রিচার্জ করতে আজিমপুর মোড়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কার্যালয়ে কয়েকশ গ্রাহকের উপস্থিতিতে বড় ধরনের জটলার সৃষ্টি হয়।
কয়েকজন গ্রাহকের
অভিযোগ, সরকার ঘোষণা দিয়েছিল গ্যাস-বিদ্যুতের বিল পরে দিলেও চলবে। কিন্তু
প্রি-পেইড মিটারের বিল যে দিতে হবে সেই ঘোষণা তারা শোনেননি।
ডিপিডিসির নির্বাহী
পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জয়ন্ত কুমার সিকদার এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, লালবাগ এলাকায় একটি ভেন্ডিং স্টেশন বন্ধ থাকায় আজিমপুরে ভিড় বেড়ে
গিয়েছিল। ভিড় দেখে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সবাইকে নির্ধারিত
দূরত্বে দাঁড় করিয়েছে।
এই বিতরণ কোম্পানির
আরেক নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) এটিএম হারুন অর রশিদ জানান, আজিমপুর এলাকায়
ভেন্ডিং স্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে ৪০০ পস মেশিন রয়েছে। এদিন গ্রাহকরা পস মেশিনে
না গিয়ে সরাসরি স্টেশনে চলে আসে। কালকে থেকে পস মেশিনের মাধ্যমে বিল দেওয়া যাবে।
সেটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিপিডিসির উদ্যোগগুলোর
বার্তা গ্রাহকদের কাছে সঠিকভাবে না পৌঁছানোর কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে
স্বীকার করেন এই দুই কর্মকর্তা।
দেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে গ্রাহকদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল তিন থেকে চার মাস দেরিতে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ।
এরপর গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রি-পেইড গ্রাহকদের জন্যও নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে কোম্পানিভিত্তিক পৃথক উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডিপিডিসির
নির্বাহী পরিচালক জয়ন্ত কুমার সিকদার গত শুক্রবার জানিয়েছিলেন, বর্তমান
পরিস্থিতিতে গ্রাহকদেরকে ডিপিডিসির অফিসে এসে ভিড় না করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি
গ্রাহকদের এক সপ্তাহ আগেই মিটার করতে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। এর পরেও
বর্তমান পরিস্থিতিতে কারও যদি রিচার্জের প্রয়োজন হয় তাহলে ফোন করে জানাতে পারবেন।
ভেন্ডররা বাসায় গিয়ে রিচার্জ করে দিয়ে আসবে।
এছাড়া গ্রাহকদের
জন্য হ্যাপি আওয়ার পদ্ধতিটাও চালু রয়েছে। অর্থাৎ শুক্র-শনিবার অফিস বন্ধ থাকার সময়
কারও যদি মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় তাহলে অফিস খোলার আগ পর্যন্ত মিটার সচল
থাকছে।
ঢাকার আরেক বিতরণ
সংস্থা ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী (ইস্ট জোন) একেএম মহিউদ্দিন বলেছিলেন, তাদের মোট ২
লাখ ৯২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২ লাখ গ্রাহকের প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার রয়েছে। এসব
মিটারে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত টাকা শেষ হয়ে গেলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না এমন
পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বাকি ৭৫ হাজার প্রি-পেইড মিটারের রিচার্জের জন্য ভেন্ডর
সেন্টার ও ব্যাংকের বুথগুলো এখনও চালু রয়েছে। এছাড়া যদি কোনো গ্রাহক বাসা থেকে বের
হতে না চান তাহলে ভেন্ডররা বাসায় গিয়ে রিচার্জ করে দিয়ে আসবেন।
এছাড়া
উত্তরাঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য নেসকো, খুলনা অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য ওজোপাডিকোসহ
অন্যান্য বিতরণ কোম্পানিগুলোও একই ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব উদ্যোগ
ওয়েবসাইটে ও বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। অনেক কোম্পানি
গ্রাহকদের কাছে এসএমএস দিয়েও বিষয়গুলো জানাচ্ছেন বলে জানা গেছে।