ক্যাটাগরি

বাড়িতে আলাদা ঘর নেই, গাছের ওপর ‘স্বেচ্ছা আইসোলশন’

বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো পৃথক ঘর না থাকায় তারা এ পথ বেছে নিয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর ব্লকের ভাঙিডি গ্রামের বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আজকাল অনলাইন। গ্রামবাসীরাই গাছের ওপর মাচা বেঁধে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

আজকাল জানায়, কয়েক মাস আগে কাজের খোঁজে ওই সাত যুবক চেন্নাই গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় গত সপ্তাহের প্রথম দিকে তারা কাজ ছেড়ে ট্রেনে করে নিজ রাজ্যে ফিরে আসেন।

তাদের আসার খবরে গ্রামবাসী আগেভাগেই গাছের ওপর মাচা করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। একটি গাছের বিভিন্ন ডালে খাটিয়া চাপিয়ে সাত জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউকেই নিজ বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

একটি গাছের বিভিন্ন ডালে খাটিয়া চাপিয়ে সাত জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: টুইটার

একটি গাছের বিভিন্ন ডালে খাটিয়া চাপিয়ে সাত জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: টুইটার

গাছের নিচেই তাদের জন্য আলাদা রান্না করার ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রান্নার সরঞ্জামও দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা রান্নার উপকরণ গাছের তলায় রেখে আসে।

গাছের ওপর শুয়ে-বসে দিন কাটানো ওই সাত জন নিচে নেমে রান্না করে খেয়ে আবার গাছে চলে যান।

এটা পুরনো প্রথা বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। হাতির ওপর নজর রাখার জন্য প্রত্যন্ত ওই এলাকায় এ রকম মাচা ব্যবহার করা হয়। এখন কয়েকজনকে আইসোলেশনে রাখতে একই কায়দা ব্যবহার করা হলো।

ওই যুবকদের করোনা সংক্রমণের কোনো রিপোর্ট না থাকলেও তাদের ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।