ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। এখানে মঙ্গলবার থেকে শনাক্ত করার পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), পরীক্ষার কিট এসেছে। এখন কলেজ ভবনের চতুর্থ তলার পশ্চিম পাশে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দুটি কক্ষে যন্ত্রপাতিগুলোর স্থাপনের কাজ চলছে।
সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, দুটি কক্ষে যন্ত্রগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। একটি কক্ষে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর)মেশিন ও সেফটি ক্যাবিনেট স্থাপন করা হচ্ছে। অপর কক্ষে অণুবীক্ষণযন্ত্রসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল রিঅ্যাজেন্ট রাখারব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে ব্যবহার করার জন্য এই কক্ষটিতে কম্পিউটারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিও রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ল্যাব স্থাপনের জন্য ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে কাজ করছেন বলে জানান অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, পরীক্ষার কিট এবং পিপিই পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৪০ সেট কিট ও ৪০ সেট পিপিই বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো আরও আসবে।
“আশা করছি মঙ্গলবারের মধ্যেই ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হবে এবং ভাইরাস শনাক্ত করার কাজও শুরু করা যাবে।”
সন্দেহজনক রোগীদের জন্য স্থানীয় এসকে হাসপাতালে স্থাপন করা আইসোলেশন ইউনিট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সালমা আহমদ।
তিনি বলেন, “আশা করছি আমরা দুই ঘণ্টর মধ্যেই পরীক্ষার ফল দিতে পারব। মঙ্গলবার থেকেই ল্যাবটি পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে বলেও আশা করছি।”

পরীক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মীনারায়ণ মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করে এই ল্যাবে আনবেন। তারপর পিসিআর যন্ত্রের ম্যাধমে দ্রুত পরীক্ষা করা হবে।
“যারা সর্দি-জ্বরে আতঙ্কিত হযে পড়ছেন, তারা এই ল্যাব থেকে উপকৃত হবেন। আতঙ্ক কমে যাবে।”
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় এখনও সন্দেভাজন কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে আনার দরকার হয়নি বলে তিনি জানান।

এই ল্যাব থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের রোগীরা সহজেই করোনাভাইরাসের আক্রান্ত কিনা তা বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবেন। এতে ভাইরাসটি এ এলাকায় সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মনে করছেন বিএমএ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি মতিউর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমেদ গোলন্দাজ।
তারা জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভাগের চারটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা সবকিছু তদারক করছেন।