চৌগাছা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চৌগাছা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটি এক যুবককে স্বামী পরিচয় দিয়ে মার্চ
মাসের শুরুতে চৌগাছা পৌর এলাকার পশ্চিম কারিকরপাড়ায় একটি ভাড়াবাড়িতে ওঠেন।
“ওই নারীর জ্বর,
সর্দি, কাশিসহ অন্যান্য উপসর্গ থাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে গতকাল (২৮ মার্চ)
বিকালে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।”
ইউএনও জাহিদুল
আরও বলেন, ওই তরুণী পশ্চিম কারিগরপাড়ার যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ি ও তার পাশের আরও তিন
বাড়ি এবং তার স্বামী পরিচয়দানকারী যুবকের হাকিমপুর গ্রামের বাড়ির সকল সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে
রাখা হয়েছে।
চৌগাছা উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার বলেন, “ওই মেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তার ঠাণ্ডা, কাশি
ও জ্বর ছিল। তাই তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আজ (রোববার) সকালে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো
হয়েছে। এছাড়া মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
এ বিষয়ে যশোর
জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আরিফ আহমেদ বলেন, শনিবার রাতে চৌগাছা থেকে আসা এক নারীকে
আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে
পাঠানো হয়েছে।
“একই সঙ্গে
সিভিল সার্জনকে তার সংস্পর্শে আসা লোকজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এর আগে রোববার
সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলিপ কুমার রায় বলেছেন, মেয়েটিকে হাসপাতালে
আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
যশোরের সিভিল
সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তার সংস্পর্শে
আসা লোকজনদের সম্পর্কে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। একইসাথে জেলা
প্রশাসকের পরামর্শক্রমে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক
মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, চৌগাছার এক মেয়েকে জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তার সংস্পর্শে
আসা কয়েকটি বাড়ির সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।