এই ধরনের শরবত ঠাণ্ডা কাশি দূরে রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে
শরীরের উপকার করে এমন কয়েকটি পানীয় সম্পর্কে
জানানো হল।
টমেটো
জুস: টমেটো তিন রকমের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন– সি, ই
এবং বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা কোষকে ‘ফ্রি রেডিকেল’ থেকে সুরক্ষিত রাখে। এক গ্লাস টমেটোর
জুস শরীরে নানা রকমের উপকার করে। এটা ত্বক, রক্ত ও সংযোগস্থল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কমলার
শরবত: শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পেতে কমলা খাওয়া যায়। এটা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। সিট্রাস ফল যেমন- কমলা,
আঙ্গুর, লেবু ইত্যাদি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা সাধারণ সংক্রমণ থেকে
বাঁচাতে সাহায্য করে।
বিট
ও গাজরের জুস: এটা ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে লৌহ ও ক্যালসিয়াম
রয়েছে। যে কোনো প্রদাহ প্রাথমিকভাবে উপশম করতে সাহায্য করে। এতে সামান্য আদা ও হলুদ
যোগ করলে তা ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা
পরিমিত পরিমাণে এই শরবত খেলে উপকার পাবেন।
তরমুজ:
তরমুজ ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক সমৃদ্ধ। তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এবং শরীর ভালো রাখে। এক গ্লাস তরমুজের শরবত শরীর সতেজ রাখার পাশাপাশি পেশির ব্যথা ও
সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
পালং
ও লেটুসের জুস: ভিটামিন এ, বি এবং সি এবং নানান পুষ্টি উপাদান যেমন–
লৌহ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এই জুস ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরির মাত্রা বাড়ায় এবং কোষ সংগঠনে
সহায়তা করে।
আপেল,
গাজর ও কমলা: একসঙ্গে মিশিয়ে
তৈরি করতে পারেন রোগ প্রতিরোধক শরবত।
এসকল উপাদান একত্রে ভিটামিন এ, বি-সিক্স, পটাসিয়াম এবং
ফলিক অ্যাসিড সরবারহ করে। যা শক্তি যোগাতে ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আরও
পড়ুন