হাসপাতালের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় ভাইরোলজি বিভাগে এই পরীক্ষা করা হবে।
পরীক্ষার জন্য কিটের
কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
করা হবে। ডেঙ্গুর সময় যেভাবে বিনামূল্যে করেছিলাম এখনও সেভাবে হবে।”
করোনাভাইরাস সন্দেহ
হলে আইইডিসিআরসহ ঢাকার অন্যান্য যেসব হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালু হয়েছে সেগুলোতেও রোগীরা
যেন যান, সেই পরামর্শ দেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক।
“এখানে নভেল করোনাভাইরাসের
পরীক্ষা হয় শুনলে সবাই যাতে চলে না আসনে। কারণ হাসপাতালে ভর্তি, জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে
আসা রোগীদের মধ্যে যাদের কোভিড- ১৯ ভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহ করা হবে, শুধু তারাই ওই
বিভাগে পরীক্ষা করাতে পারবেন,” বলেন তিনি।
পরীক্ষার ফলাফল দ্রুতই
পাওয়া যাবে জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার নাসির বলেন, “এই পরীক্ষার সঙ্গে আইইডিসিআরসহ যে যে সংস্থা
সংযুক্ত থাকার কথা সেসব সংস্থা যুক্ত রয়েছে।”
পরীক্ষার বিষয়ে জানতে
চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান মো. আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, আপতত তারা পিসিআর টেস্ট করবেন।
“সেজন্য নমুনা হিসেবে
রোগীর লালা বা কফ নেওয়া হবে। সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে, সরকারের অনুমোদন পেলেই
কাজ শুরু হবে।”
বৈশ্বিক
মহামারীতে রূপ নেওয়া নোভেল করোনাভাইরাস বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। এই
ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজারের
বেশি মানুষের।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান
আইইডিসিআরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে আরও তিনজনের মধ্যে এ ভাইরাসের
সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে;
মৃত্যু ঘটেছে ৬ জনের।
এতদিন শুধু আইইডিসিআরের গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের
পরীক্ষা হত। এখন তাদের তত্ত্বাবধানে দেশের আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে এই সুবিধা সম্প্রসারণ
করা হয়েছে।