ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: বিপাকে বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিকেরা, সরকারি সহায়তার আশায়

শ্রমিকেরা বলছেন, প্রতিদিনের মজুরি দিয়ে
তাদের সংসার চলে। কিন্তু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
এড়াতে সরকার ছুটির
ঘোষণা করায় সব
বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে
কাজ না থাকায়
তারা বেকার হয়ে
পড়েছেন; এতে সংসারের
নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ
মেটাতে এখন তাদের
হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সরকারি ছুটির কারণে ২৬ মার্চ থেকে বন্দরের সকল কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে জানিয়ে
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সভাপতি রাজু আহম্মেদ রাজু বলেন,
বন্দরে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকের কাজ করেন এমন দুটি নিবন্ধিত সংগঠনের শ্রমিকের সংখ্যা ছয়
হাজার। করোনাভাইরাস যাতে না
ছড়ায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তারা
বাড়িতেই অবস্থান করছেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ
বাইরে যাচ্ছেনা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ
নিয়ে জানা যায়-
অনেক শ্রমিকের
ঘরে খাদ্যসামগ্রী ও
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কাজ না থাকায় তারা এখন কোনো উপায় পাচ্ছেন না। এমন কি সরকারি কোন সহযোগিতা তারা পায়নি। 

বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন- ৮৯১ এর সভাপতি কলিম উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকের ঘরেই এখন হাহাকার। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এসব শ্রমিকদের পরিবারে এখন পর্যন্ত কোনো খাদ্যসামগ্রী জোটেনি।”

শার্শার লাউতাড়া গ্রামের ইমান আলি বলেন,
“২৫ মার্চ আমরা শেষ কাজ করেছি। এরপর থেকে বাড়িতে আছি। প্রতিদিন যে টাকা মজুরি হিসেবে পাই, তা দিয়েই সংসার চলতো। এখন কাজ নেই, হাতে কোন টাকাও নেই, ধারদেনা করে চলছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে চিন্তামুক্ত থাকতাম। ”

এ বিষয়ে শার্শা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডলের কাছে
জানতে চাইলে তিনি
বলেন, তার উপজেলার
ইউনিয়ন পরিষদ ও
পৌরসভা থেকে এক
হাজার পরিবরের একটি
তালিকা পেয়েছিলেন। 

প্রাথমিকভাবে ওই
পরিবারকে সরকারি
বরাদ্দের ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়েছে।

আরও আরও চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে
জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, “এনবিআর চাইলেই যে কোন সময় কাজ শুরু হবে। হ্যান্ডেলিং শ্রমিকদের জন্য অনুদানের তেমন কোনো ব্যবস্থা আমাদের নেই।”  

শ্রমিক নেতা আব্দুর রশিদ মল্লিক বলেন, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেতন পান। তারা ‘নো ওয়ার্ক নো পে’- ভিত্তিতে দৈনিক মজুরি পেয়ে থাকেন।  একটানা
বন্ধের কারণে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ”

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে ৫০ হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক কাজ করেন। যারা
করোনাভাইরাসের পরিস্থির বিপাকে পড়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন
বলে জানান বাংলাদেশ স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন।