বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সামাজিক দূরত্ব
বজিয়ে রাখার এ সময়ের ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এর আগে সকাল ১০টার পর থেকে যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে
ত্রাণ বিতরণ করছিল যশোর পৌরসভা। সেখানে ত্রাণ বিতরণকালে হাজারো মানুষকে ভিড় করে হুড়োহুড়ি
করতে দেখা যায়। দুপুরে সেই ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনও ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন
শত শত নারী ও পুরুষ।
এ অবস্থায় ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এরপর বেলা দেড়টার দিকে
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা।
যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ারা বলেন, “আমি স্বামী পরিত্যক্তা।
এক ছেলে আছে, সেও প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম।
“পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও ত্রাণ পাচ্ছি না। পৌরসভার ত্রাণ গরিব লোকে পায়
না; পাচ্ছে বড় লোকেরা।”
পালবাড়ি পুলিশ লাইন বস্তি এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ বলেন, “তিন দিন ধরে
আসছি কোনো ত্রাণ পাইনি।
“চাল নিতে আসার কারণে তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তাই আমরা ডিসি স্যারের
কাছে এসেছি কিন্তু তিনিও আমাদের কথা শুনলেন না।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, “এখন পর্যন্ত যশোর জেলায়
২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
“কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
তাদের ব্যাপারে পৌরসভার মেয়রের সাথে কথা বলেছি।”
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন
জানান, যশোর পৌরসভায় পাঁচ হাজার পরিবারকে পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যারা বিক্ষোভ
করেছেন পৌরসভার ত্রাণের তালিকায় তাদের কোন নাম নেই।
তবে জেলা প্রশাসকের বলার পর বিকালে পৌরসভা বিক্ষোভকারীদের পাঁচ কেজি করে
চাল দিযেছে বলে জানান তিনি।