ফ্লিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার থমকে ছিল অনেক দিন থেকেই। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন। এবার সবকিছুকেই বিদায় জানালেন ৩৫ ছুঁইছুঁই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০০৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে তার টেস্ট অভিষেক। ড্র ম্যাচে দলের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাট করে অপরাজিত ২৯ রানের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার ইনিংস খেলেছিলেন। তাকে অবশ্য অনেকে মনে রেখেছে দ্বিতীয় টেস্টের একটি ঘটনার জন্য। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জেমস অ্যান্ডারসনের বাউন্সারে রক্তাক্ত হয়েছিল তার মুখ, দাঁত পড়ে গিয়েছিল দুটি।
২০০৮ সালেই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তরুণ প্রতিভা হিসেবে। খেলেছিলেন দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে। সম্ভাবনা থাকলেও পরে থিতু হতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২৪ টেস্ট খেলে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৫, ফিফটি মোটে ৬টি। ২৫.৯৫ গড়ে রান করেছেন হাজারের একটু ওপরে। নিজের সবশেষ টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়া ৪৬তম ক্রিকেটার ফ্লিন।
রঙিন পোশাকে পারফরম্যান্স ছিল আরও বিবর্ণ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৫।
নর্দান ড্রিস্ট্রিক্টসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য সাফল্য পেয়েছেন বেশ। ১৩৫ ম্যাচে রান ৮ হাজারের কাছাকাছি, সেঞ্চুরি ২১টি।
বিদায়বেলায় আক্ষেপের চেয়ে তৃপ্তিই বেশি ফুটে উঠল তার কণ্ঠে।
“দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত কিছু, ছেলেবেলা থেকে সেটিই থাকে স্বপ্ন। পেছন ফিরে তাকিয়ে যখন দেখি, সেই স্বাদ আমি পেয়েছি, তা আমাকে দারুণ তৃপ্তি দেয়। ক্যারিয়ার জুড়ে যাদের সঙ্গে খেলেছি, তারা শুধু ভালো ক্রিকেটারই নয়, ভালো মানুষও ছিল। মাঠের ভেতরে-বাইরে তাদের থেকে শিখেছি অনেক।”
“নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে কিছু ট্রফি জয় ছিল সবসময়ই স্পেশাল, এই স্মৃতিগুলি আমি কখনোই ভুলব না।”