বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন বন্দর উপজেলার ‘রসুলবাগ’ এলাকা লক-ডাউন করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “দুপুরে আইইডিসিআর এ পরীক্ষায় ওই নারীর মৃত্যু করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ওই এলাকা লক-ডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রসুলবাগ এলাকায় লক-ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।”
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে লক-ডাউন করার সময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার, জেলা করোনাভাইরাস ফোকাল পারর্সন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, র্যাব-১১ সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর থানার ওসি ফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা জানান, গত ২৯ মার্চ রোববার বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার ৪৫ বছর বয়সী এক নারী শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওই নারীকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। স্বজনেরা ওই দিন ওই নারীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে না নেওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, গত ৩০ মার্চ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠায়। এরপর স্বজনেরা লাশ বন্দরের বাড়িতে নিয়ে আসে।
এর আগে ওই নারী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মনে করে দুই ছেলে ও মেয়ের জামাইসহ স্বজনরা ওই নারীকে বন্দর উপজেলার স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইইডিসিআর এ পরীক্ষায় ওই নারীর করোনাভাইরাস পজেটিভ আসলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় বলেন তিনি।
তবে তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার এ বিবরণ পৃথক সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।