পোশাক রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে যে ধরনের তহবিল গঠন
করা হয়েছে, সেই একই ধরনের সহায়তা চায় তারা।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনা দুর্যোগে দোকান কর্মচারীদের বেতন দিতে ব্যবসায়ীরা
এই ঋণ সহায়তা চাচ্ছেন। এটা শুধু যাদের কর্মচারী ১৫ জনের কম সেই রকম ছোট ব্যবসায়ীদের
জন্য এই সহায়তা চাচ্ছি আমরা।”
হেলাল উদ্দিন বলেন, “সাধারণ ছুটি থাকায় আমরা সরকারের কাছে
আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা পাঠাতে পারছি না। তবে আমি প্রধামন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে
যোগাযোগ করেছি। তিনি বলেছেন, আগামী রোববারের আগে তিনি অফিসে বসবেন না।
“এরপর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানিয়েছেন।”
দোকান মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, “তাই আমরা বাধ্য হয়ে মিডিয়ার
মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
হেলাল উদ্দিন বলেন, “দোকান কর্মচারীদের গড়ে ১৪ হাজারের কিছু
বেশি বেতন হলেও এই দুঃসময়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা তাদের একেকজনকে ৭ হাজার টাকা
করে বেতন দিতে চাই।
“আমরা সরকারের কাছে ছয় মাসের জন্য বিনা সুদে আড়াই হাজার কোটি
টাকার সহায়তা চাই। দুর্যোগ কেটে গেলে আগামী ছয় মাস পরে ব্যবসায়ীরা সরকারকে পরিশোধ
করে দেব।”
এর আগে গত বুধবার এই সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
সাধারণ ছুটিতে কেনাবেচা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন তাদের ‘১ হাজার ৭৪ কোটি’ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলার ২৬ জন দোকান মালিকের নাম
উল্লেখ করে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা এখন কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন
না। তাই সরকারি সহায়তা পেলে কর্মচারীদের অর্ধেক বেতন হলেও দিতে পারবেন।
এতে তাদের চলমান ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছয় মাস সময় দেওয়ার অনুরোধ
জানানো হয়। এছাড়া চক্রবৃদ্ধি সুদ আদায় বন্ধ রেখে সরল সুদের দাবিও জানানো হয় এতে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে দোকান মালিক সমিতি
বলেছে, ১৫ জনের কম কর্মচারী থাকা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৩
লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৭ লাখ ১৪ হাজার জন কর্মী কাজ করেন। তাদের
মোট মাসিক বেতন প্রায় ১৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।