জুম প্রধান বলছেন, আগে প্রতিদিন এক কোটি অংশগ্রহণকারী অংশ নিতেন জুম ব্যবহার করে আয়োজিত মিটিংগুলোতে। আর এ বছরের মার্চ নাগাদ সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটিতে। জুমের নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানে ফিচার আপডেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি।
“গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এতো সংখ্যক ব্যবহারকারী সামাল দেওয়া আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ এবং একক ফোকাস ছিল।” – এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন ইউয়ান। “তারপরও, আমরা বুঝতে পেরেছি যে কমিউনিটি এবং – কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের — গোপনতা ও সুরক্ষা প্রত্যাশা পূরণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি”।
আপাতত ৯০ দিন নতুন কোনো ফিচার না এনে গোপনতা সমস্যাগুলোর সমাধান করবে জুম।
বর্তমানে অ্যাপ হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রথম এবং যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জুম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার জনসাধারণকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বাসায় অবস্থান নিতে বলার পর জুমের ব্যবহার আগের তুলনায় যে অনেক বেড়েছে সেটি ওপরের তুলনাই বলে দেয়।
জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার প্রশ্নের মুখোমুখিও হয়েছে জুম। এতো ব্যবহারকারীর চাপ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা অ্যাপটির আছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্নটি তুলেছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। মূলত সংশয় তৈরি হয়েছে অ্যাপটির ডেটা নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মাপকাঠিকে ঘিরে।
এরই মধ্যে “উল্লেখযোগ্য গোপনতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ”-এর কারণে নিজেদের সব কর্মীকে অ্যাপ জুম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্পেসএক্স। একই কাজ করেছে মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন সরকারি সংস্থা নাসা-ও।