ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১১৬৯ মৃত্যু

সব মিলিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ এ প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৩তে দাঁড়িয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে।

আক্রান্তের সংখ্যায় দেশটি আগে থেকেই সবার ওপরে ছিল। বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই সংখ্যা দুই লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, জানিয়েছে বিবিসি।

ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বলছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

উপসর্গবিহীন আক্রান্তদের চিহ্নিত করা কঠিন হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা ৫ থেকে ১০ গুণ বেশিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রেন্ডন মারফি।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবল থেকে বাঁচতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ নানান বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি এখন ‘ঘরবন্দির’ নির্দেশনার আওতায় বলে সিএনএন জানিয়েছে।

দেশটিতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কেবল নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় পরের অঙ্গরাজ্যগুলো হচ্ছে নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান ও লুইজিয়ানা।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন নাগরিকদের ঘরের বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডেবোরাহ বার্ক্স বলেছেন, শিগগিরই সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তাদের সুরক্ষা নির্দেশনায় সবাইকে মাস্ক পরতে বলবে।

তবে মাস্ক পরা মানেই যে করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি, এমনটা না ভাবতেও বার্ক্স অনুরোধ করেছেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা্ম্পও নাগরিকদের মাস্ক পরার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।

“চাইলে, তারা পরতে পারেন,” কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্কার্ফেও কাজ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

“অনেক সময় স্কার্ফও ভালো, এটি পুরু,” বলেছেন তিনি।

কয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।