শুক্রবার দুপুর ২টায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে তিনি তার বাড়িতে
মারা যান বলে পরিবারকে উদ্ধৃত করে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে-নমুনা সংগ্রহ
করা হবে।
৬৫ বছর বয়সী মৃত ব্যক্তির বাড়ি সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের কাজি কান্দি
গ্রামে।
ভেদরগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও মৃতের ছেলের স্ত্রী জানান, গত ৫/৭
দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও বুকের ব্যাথা নিয়ে বাড়িতে ব্যক্তিগত চিকিৎসায়
ছিলেন ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। কোনো ডাক্তারের কাছে না জানিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে
খান। ধীরে ধীরে আরো স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তার।
তার বড় ছেলে শামীম কবীর ঢাকার গাজিপুর থাকেন।তার ছেলে গত বৃহস্পতিবার সকালে
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
মেঘনাথ সাহাকে বিষয়টি জানান।
ডা. মেঘনাথ সাহা সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ নেন।
এ অবস্থায় শুক্রবার ২টায় মারা যান তিনি। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগে হৈচৈ পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেখানে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ডাক্তার পাঠিয়ে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার
আইইডিসিআর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে মৃতের ছেলে বলেন, “আমার বাবার চার বছর ধরে হার্টের সমস্যা ছিল।
গত ৫/৭ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। ফার্মেসি
থেকে ওষুধ কিনে খায়। করোনাভাইরাসের ভয়ে কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নেননি। শুক্রবার বেলা
২টায় তিনি মারা গেছেন।”
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেঘনাথ সাহা
বলেন, “সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ হার্টের সমস্যা নিয়ে সখিপুর চরভাগা এলাকায় এক বৃদ্ধ
মারা গেছেন। তিনি কোনো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজের লোকের মাধ্যমে ফার্মেসি থেকে ওষুধ
কিনে খেয়েছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।”
শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, “এ বিষয়টি
আমি ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে শুনেছি। বিস্তারিত
আমার জানা নেই।”