শুক্রবার
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সমস্যা
সমাধানে ‘সজাগ দৃষ্টি রাখছে’ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, “নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্যমতে এ মুহূর্তে বিভিন্ন কারণে
ভারতে গমন করা বা আটকে পড়া বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার পাঁচশত। এর মধ্যে এক
হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।”
করোনাভাইরাস
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়ার পর সংক্রমণ এড়াতে ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন
ঘোষণা করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার।
এ সময়
প্রবাসী ভারতীয়সহ কোনো বিদেশি ভারতে ঢুকতে পারবে না। ভারতের আন্তঃরাজ্য যোগাযোগও রয়েছে
বন্ধ।
একইসঙ্গে
ভারত থেকেও কোনো বিদেশির বহির্গমন নিরুৎসাহিত করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
বাংলাদেশও
সংক্রমণ এড়াতে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি করেছে।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মিশনের কর্মকর্তারা আটকেপড়া দুই হাজার পাঁচশত জন
বাংলাদেশির সঙ্গে বিভিন্নভাবে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
রাখছে।
”আটকেপড়া
প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে, হাইকমিশন ও অন্যান্য
মিশনসমূহ তা সমাধানে সচেষ্ট আছে।”
পরিবেশ
ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে
আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।