চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী মিয়া শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিআইটিআইডিতে আজ নমুনা পরীক্ষায় একজনের পজিটিভ এসেছে।”
নগরীর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে এ হাসপাতালেই করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোগী ধরা পড়ার পর দামপাড়া এলাকার ছয়টি ভবন লকডাউন করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ জানান, ৬৭ বছর বয়েসী ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তার বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির মেয়ে ও তার শাশুড়ি ওমরাহ করে গত ১২ মার্চ শাহ আমানত বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। মেয়ের শাশুড়ি সাতকানিয়ায় বাড়িতে চলে গেছেন। মেয়ে তার বাসায় আছেন।
দামপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দোতলা একটি ভবনের মালিক। ভবনটির দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। ওই ভবনের নিচতলায় থাকেন তার ভাই এবং আরেকজন ভাড়াটিয়া।
সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ জানান, রোগী শনাক্তের পর ওই ব্যক্তিরটিসহ মোট ছয়টি ভবন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে চারজন আছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে।
এদের একজন পজিটিভ এলেও অন্যজনের নমুনায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বাকি দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষার ফলাফল এখনো আসেনি।
বিআইটিআইডিতে শুক্রবার মোট ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৬১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।