ক্যাটাগরি

নৌবাহিনীর সদস্যের মৃত্যু, কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ি কোয়ারেন্টিনে

তবে
চিকিৎসক এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, ৩৪ বছর বয়সী
ওই নৌবাহিনী সদস্য গ্যাস্ট্রিক-আলসার ও হৃদরোগে ভুগছিলেন;
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ তার ছিল না।

নৌবাহিনীর
ওই পেটি অফিসার মোংলায় ‘বিএনএস নিশানে’ কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায়। মৃত্যুর আগে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন।

ওই
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। এ কারণে রোগের
লক্ষণ সম্পর্কে তারা সরাসরি কিছু জানতে পারেননি।

তবে
রোগীর স্বজনদের আনা পুরনো চিকিৎসাপত্রের বরাতে তিনি বলেন, “এই রোগী আগে
থেকেই গ্যাস্ট্রিক-আলসার ও হৃদরোগের সমস্যা ছিল। তবে পরিবারের
লোকজন মনে করছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। শ্বাসকষ্ট দেখে তারা এমন মনে করছেন। তাই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”

শুক্রবার
বেলা ১১টার দিকে খুলনা থেকে আসা নৌ-সেনাদের উপস্থিতিতে
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।

এদিকে
অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মেহেরপুরের
সিভিল সার্জন মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “ওই ব্যক্তি অসুস্থ
অবস্থায় তিন দিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে পরিবার সন্দেহ করায় ওই এলাকার কয়েকটি
বাড়ির বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

নৌবাহিনীর
ওই পেটি অফিসার সম্প্রতি ইতালি গিয়েছিলেন বলে মৃত্যুর পর তার এলাকায়
চাউর হয়।


বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর বলেন, “এ কথা ঠিক
না। তার পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
কথা বলে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”

আন্তঃবাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নৌবাহিনীর ওই পেটি অফিসার ছুটিতে ছিলেন। আগে থেকেই তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছিল। মেহেরপুরে ছুটিতে থাকাকালীন তার পেট ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয় এবং পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

ইবনে
জায়েদ বলেন, সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে মৃত্যুর পর তার পরিবার
পেনশন নিতে চায়। তাই তার ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ লিখেছেন ‘গ্যাস্ট্রোলজিক্যাল রিজন এবং লিভার ড্যামেজ’।

গলা
ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট ছিল
কি না জানতে চাইলে
তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ মারা গেলে এভাবে একটা অপপ্রচার চালিয়ে দেওয়া হয়। আমি তো মৃত্যুর কারণ
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বললাম।”