নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে প্রকাশিত এ গান বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের মাঝেও দারুণ আলোড়ন তুলেছিল; প্রায় দুই যুগ পরও সেখানে সমানভাবে সমাদৃত গানটি।
‘ঘরবন্দি’ নিরানন্দের জীবনে একটুখানি আনন্দ খুঁজে পেতে শহর কলকাতা থেকে শুরু হয়েছে ‘সেই তুমি’ গান নিয়ে অনলাইন লকড ডাউন প্রজেক্ট; যার উদ্যোক্তা আইয়ুব বাচ্চুর ভক্ত ও সংগীতপ্রেমী সায়ক দাস।
২৮ মার্চ থেকে টানা সাতদিন গানের স্রষ্টাকে সম্মান জানিয়ে প্রায় শতাধিক পেশাদার-অপেশাদার শিল্পী ঘরে বসেই গানটি কণ্ঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করেছেন; নিজে প্রকাশ করে অন্যদের ‘নমিনেট’ করছেন।
কলকাতা ছাড়িয়ে মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর বাঙালীদের মুখ থেকে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে ‘সেই তুমি’।
আইয়ুব বাচ্চুর বেশিরভাগ গানই কলকাতার শ্রোতাদের মাঝে পরিচিত; তবে কলকাতায় ‘সেই তুমি’ গানকেই উনার ‘আইকনিক সং’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে গ্লিটজকে জানালেন সায়ক।
“এখানকার প্রত্যেকটা মানুষের মুখে এই গানটি শোনা যায়। শুধু শিল্পী নয়, সাধারণ মানুষরাও যাতে এই আয়োজনে যুক্ত থাকতে পারেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই গানটি বেছে নেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম অগ্রপথিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে; ২০১৮ সালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান চার দশক ধরে শ্রোতাদের গিটারের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখা এ রকস্টার।
ভক্ত হিসেবে অনেকের মতো শহর কলকাতার তরুণ সায়কও অনুসরণ করেন এলআরবি’র এ দলনেতাকে; যার গানে বুঁদ হয়েই কৈশোর কেটেছে তার।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “যতবার উনি কলকাতায় কনসার্ট করতে এসেছেন প্রত্যেকবারই গান শুনতে গিয়েছি; একবারের জন্যও মিস করিনি। উনি আমি ফলো করি। প্রত্যেক মানুষই উনার কোনো না কোনো গানের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাবেন।”
শতাধিক গানের ভিডিও থেকে নির্বাচিত ২০টির মতো ভিডিও নিয়ে আরেকটি ভিডিও শিগগিরই প্রকাশের পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।