আগামী ৭ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এ লকডাউন। স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে অনলাইন ক্লাস চলবে ৮ এপ্রিল বুধবার থেকে। শুক্রবার এক ঘোষণায় একথা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং।
লোকজনকে এ সময়ে বাড়িতে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
লি বলেন, সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার বাড়ছে। আগে যেখানে দিনে ১০ জনেরও কম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিল এখন সেখানে দিনেই ৫০ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ১,১১৪ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আর কেবল শুক্রবারেই নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রবণতা দেখে আমি উদ্বিগ্ন। আমরা এখনই আরো পদক্ষেপ না নিলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহে একটু একটু করে কড়াকড়ির পদক্ষেপ না নিয়ে আমাদের বরং এখনই সংক্রমণ ঠেকাতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
একমাস লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের মাস্ক পরার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, এটি পরলে যারা করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন কিনা জানেন না তাদের কাছ থেকে অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবে।
লকডাউনের সময়টিতে সিঙ্গাপুরে চালু থাকবে খাদ্য সরবরাহ, বাজার, সুপারমার্কেট, ক্লিনিক, হাসপাতাল, পরিবহন এবং ব্যাংক। দেশে এই সময়ে এমনকি এর পরবর্তী সময়ের জন্যও পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।