একইসঙ্গে
যে সব সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্ণ হযে যাবে, তার আসলও তোলা যাবে বলে রোববার বাংলাদেশ
ব্যাংক জানিয়েছে।
সব
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সার্কুলারে বলা
হয়েছে, সীমিত আকারে যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে তার আওতায় গ্রাহকরা বিভিন্ন
জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন এবং কুপনের অর্থ পরিশোধও অন্তর্ভুক্ত
হবে।
করোনাভাইরাসের
ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব ধরনের অফিস আদালতে ছুটি চলছে,
যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে যার যার
বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে
ছুটির মধ্যেও জরুরি সেবাগুলো চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে
ব্যাংকের লেনদেন এতদিন সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে।
সীমিত
আকারের এই ব্যাংক ব্যবস্থায় সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা (সুদ) তোলার
মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তা তুলতে পারছিলেন না। কারও সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে
গেলেও আসল টাকা তুলতে পারছিলেন না।
রোববারের
সার্কুলারের পর মাসিক মুনাফা তোলার পাশপাশি মেয়াদপূর্তির টাকাও পাবেন সঞ্চয়পত্রের
গ্রাহকরা।
নাম
প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা দিয়ে সংসার চালান।
তাদের বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বিক্রির
লাগাম টেনে ধরতে গত বছরের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব
(ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) থাকা বাধ্যতামূলকসহ বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে।
সে
শর্তের কারণে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই তারা এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে
পারছেন না।
এতদিন
কুপনের মাধ্যমে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলও এখন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি)
মাধ্যমে শোধ করা হয়।
অর্থাৎ
প্রতি মাসের মুনাফার অর্থ গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে ইএফটির মাধ্যমে চলে যায়। যাদের
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাবে তাদের আসল টাকাটাও একইভাবে গ্রাহকের ব্যাংক
হিসাবে চলে যায়।
আগে
কেনা সঞ্চয়পত্রের অনেক গ্রাহক ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে ইএফটি ব্যবস্থা করে
নিয়েছেন। তাদের সুদ-আসল ব্যাংক হিসাবে চলে যাচ্ছে।