শিমুলিয়া ঘাটে হাজারো যাত্রী। কোনোভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না। ছবি: ফোকাস বাংলা
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরণের ফেরি চলাচল। তবে জরুরি সেবার নৌযান চলাচল করতে পারবে।
রবিবার সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম বলেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছিল। রবিবার তিনটি ছোট ফেরি চালু রেখে অন্যগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। চালু রাখা ফেরিতে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালের গাড়ি ও অন্যান্য জরুরি যান পার হতে পারবে।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় দেশে এর বিস্তার রোধে প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও এতোদিন ঘাটে ফেরি চলাচল করছিল।
এমন অবস্থায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হলে, শনিবার ফেরি বা অন্য নৌযানে ঠাসাঠাসি করে নদী পার হয় হাজারো মানুষ। এতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ প্রকাশের মুখে শনিবার রাতেই পোশাক কারখানা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে বিজিএমইএ।
ইত্তেফাক/জেডএইচ