রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ কথা জানানো
হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য
মোছলেম উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সংরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যেসব চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয় সেবা
দেবেন, তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নগরীর আসকার দীঘি পাড় এলাকায় আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ
কেন্দ্রের ২০টি কক্ষ, সাগরিকা এলাকায় বেসরকারি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মহিলা
হোস্টেলের ৬০টি কক্ষ এবং কাস্টমস ট্রেনিং হাউজের ১৫টি কক্ষ রিকুইজিশন করে অঅবাসনের
ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর
তাদের বাসায় যাবেন না, তাদের জন্যই এ আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি
সম্পন্ন হয়েছে।”
এছাড়া নগরীতে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যদের পরামর্শে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এসব ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়
করবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এর বাইরে বেসরকারিভাবে যারা ত্রাণ দেবেন
তাদের মহানগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে এবং উপজেলা পর্যায়ে পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করে বিতরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।