রোববার মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামের এই যুবকের
নমুনার ফলাফল হাতে আসে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের
জানান, গত শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগ ওই যুবকের নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। রোববার সন্ধ্যায় তাকে টেলিফোনে জানানো হয়েছে-ওই যুবকের শরীরে
করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে।
“তবে এখনো অফিসিয়ালভাবে জানানো হয়নি। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।”
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক এবং মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার তামীম আল ইয়ামিন একই কথা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় জামালপুরের সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.
কেএম শফিকুজ্জামান, মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজহলুল
হক ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. আজিজ ওই যুবকের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
ওই যুবককে রাতেই বিশেষ ব্যবস্থায় জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
আইসোলেশনে আনা হবে বলে জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান।
স্থানীয়রা জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকা বনানীর এক প্লাস্টিক কোম্পানিতে
রিসেপশনিস্ট হিসেবে চাকরি করতেন। মেলান্দহের ভাবকি ও মধ্যের চরের তিন রুমমেট নিয়ে ঢাকার
আশকোনায় ভাড়া থাকতেন। গত ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, তার বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা
হয়েছে।