রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চটি সদরঘাটে ভিড়েছে বলে গ্লিটজকে জানান চলচ্চিত্রের পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের সব রুটে যাত্রাবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর খুলনার দাকোপ এলাকায় কোস্ট গার্ডের বাধার মুখে মাঝ নদীতেই আটকে থাকে শুটিংয়ের লঞ্চটি।
পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে লঞ্চ ছাড়ার অনুমতি পাওয়ার কথা জানান চলচ্চিত্রের পরিচালক।
গত ১৪ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে চলচ্চিত্রের অভিনেতা সিয়াম ও অভিনেত্রী পরীমনিসহ ১০৪ জন অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী ছিলেন; টানা ২০ দিন লঞ্চে থাকার পর ঢাকায় ফিরলেন তারা।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং ইউনিটে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সতকর্তামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বলে জানান রায়হান জুয়েল।
“যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাইরে থেকে ফিরে গরম পানি দিয়ে কাপড় ধোয়া হয়েছে। সবসময়ের জন্য তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি আমরা। সবার দোয়ায় আমরা সুস্থ অবস্থায় ঢাকায় ফিরেছি।”
সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গবিডি।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নামে অনুদান পাওয়ার পর ছবির নাম বদলে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ রাখা হয়।