রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নগর পুলিশ কমিশনার এই কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও রাতে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
“চট্টগ্রাম নগরীতে চলাচল করা বাস, হিউম্যান হলার, অটো রিকশা, টেম্পু, রাইডারসহ বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহণে বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের সাথে জড়িত আছে পরিবারের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে তারা বেকার হয়ে যাওয়ায় অনেকের পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
“তাই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর কাছ থেকে তিন হাজার শ্রমিকের তালিকা নেওয়া হয়েছে।”
এস আলম গ্রুপের সহায়তায় তারা এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, “কমিশনার স্যার সকালে ত্রাণ বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। রাতে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা এই ত্রাণ বিতরণ করব।”
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই সহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের পরিবারগুলোকে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আলু, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার তেল ও একটি করে সাবান দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ।