ঢাকায়
শখের পশু-পাখির সবচেয়ে বড় বাজার কাঁটাবনে
ঘুরে যাওয়ার পর রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা
বলেন।
এর আগে ‘কাঁটাবনে
বন্দি পশুর কান্নার শব্দ’ শিরোনামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
ওই খবরে বলা
হয়, লকডাউনের মধ্যে
বদ্ধ দোকানের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ আসছে কাঁটাবনের বিভিন্ন দোকান থেকে।
বন্দিদশার
মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে পশু-পাখিগুলো এই আচরণ করছে
বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাআইরাসের
বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের কারণে কাঁটাবন মার্কেটের শতাধিক দোকান এখন বন্ধ, ফলে এর ভেতরে আটকা
পড়ে আছে পশু পাখিগুলো।
কাঁটাবনে বন্দি পশুর কান্নার শব্দ
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোরের এই খবর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই এ ব্যাপারে
সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
এক পর্যায়ে
বিষয়টি জানতে পারেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও। খবর পেয়েই তিনি
ছুটে যান কাঁটাবন, কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
পরে তিনি মোবাইলে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি সেখানে এক পাশ থেকে অপর পাশ পর্যন্ত
দোকানগুলো দেখেছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছি।
“আমি তাদের
বলেছি, আপনারা সরকারের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছেন। পশু-পাখির প্রতি যাতে কোনোভাবেই নিষ্ঠুরতা
না হয়।”
এক প্রশ্নের
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের মধ্যে খাবার দিতে কোন বাধা নাই। খাবারের সময়টুকু তাদেরকে
দেওয়া হয়। এরচেয়ে বেশি সময় দিলে ক্রেতা চলে আসবে লোক সমাগম হবে।
“সরকারের
লাইসেন্স নিয়ে যারা পশু-পাখি বিক্রি করছে, প্রয়োজনে তাদেরকে চিঠিও দেব।”