প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ রোববার ঘোষণা করেছেন তাতে ক্ষতিগ্রস্ত
শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এবং এসএমই
খাতে ৪.৫ ও ৪% সুদে ঋণ সহায়তার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, ইডিএফ এর জন্য ১২ হাজার ৫০০
কোটি, প্রি শিপমেন্ট এর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা এবং পোষাক শিল্পের জন্য আগে ঘোষিত ৫
হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বাম
জোটের নেতাদেরএক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের অর্থনীতির ৫০% এর অধিক হলো নন ফর্মাল
খাত। যাদের হিসাব সরকারের খাতায় নাই। যাদের কোনো টিআইএন নম্বর নাই। মুদি দোকানদার,
রিকশা গ্যারেজ, পান দোকানদার, ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রেতাসহ অন্যান্যরা; এদের অর্থাৎ
এরকম কমপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষকে গড়ে ৫০ হাজার টাকা সুদমুক্ত ঋণ ১ বছরের জন্য দিলে মাত্র
১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।
“অথচ প্রধানমন্ত্রীর
বক্তব্যে এদের জন্য এবং হতদরিদ্রদের খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদানের জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট
বরাদ্দের উল্লেখ নেই তেমনি দেশের বিশাল ব্যক্তিখাত কৃষির জন্যও সুনির্দিষ্ট কোন বরাদ্দ
ঘোষিত হয়নি।”
বিবৃতিতে বাম নেতারা
বলেন, এই সঙ্কটের আঁচ কৃষি ও দুগ্ধ খামারিদের উপর লাগায় তাদের সুরক্ষার জন্যও সুনির্দিষ্ট
পদক্ষেপ জরুরি।
বাম নেতাদের অভিযোগ,
সরকারের ‘সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়হীনতার’ জন্য দেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা হয়রানি
এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “পোশাক
কারখানা বন্ধ থাকবে কি না তা মালিকদের উপর ছেড়ে দিয়ে সরকার অনিশ্চয়তা তৈরি করে। চরম
দুর্ভোগে পড়ছে শ্রমিকরা।
“সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেছেন, দলে মানুষের ঢাকা আসা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার বাণিজ্যমন্ত্রী
বলছেন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিয়ে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। সরকারের এহেন দ্বিচারিতা
ও সমন্বয়হীনতার নির্মম শিকার হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ।”
বিবৃতিতে নেতারা করোনাভাইরাস
সঙ্কট মোকাবেলায় সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পুনরায় সরকারের
প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে
রয়েছেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয়
কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল
হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)
সাধারণ সম্পাদকমুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক
মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী ,সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের
আহ্বায়ক হামিদুল হক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের
কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক বজলুর
রশীদ ফিরোজ।