রোববার
এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যার জি এম কাদের এই দাবি জানান।
তিনি
বলেন, “আমাদের দেশে কল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দেয়। তাই দ্রুত
সময়ে অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি
জানাই।”
বিবৃতিতে
তিনি আরও বলেছেন, “ব্যাংক ঋণ দেওয়ার সময় নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন
সুশাসন না থাকার কারণে যার ঋণ পাওয়ার কথা সে পাচ্ছে না অথবা যে সময়ে পাওয়ার
প্রয়োজন সে সময়ে পাচ্ছে না। তাই ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ”
নভেল
করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ।
তাৎক্ষণিক,
স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়দী ও দীর্ঘমেয়াদী- এই চারভাগে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারটি
কার্যক্রম নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এই প্রণোদনা প্যাকেজকে ‘সময়োপযোগী’ হিসেবে উল্লেখ
করে বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। স্বল্প সুদের
এই ঋণ অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোও এই ঋণ
কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই আমরা।”
তবে
এই প্রণোদনা প্যাকেজের সুযোগ-সুবিধা যেন ‘অপব্যবহার’ করা না হয় তার জন্য যথাযথ
মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে।