এই সময়ে সেমিস্টার
ফাইনাল পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের গ্ৰেডিং ‘বিধি সম্মত নয়’ জানিয়ে এসব কার্যক্রম বন্ধ
রাখারও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
করোনাভাইরাসের
প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে সেমিস্টার
ফাইনাল পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের
গ্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
চলতি সেমিস্টারের
ক্লাসসহ ২৫ শতাংশ শিক্ষা কার্যক্রম বাকি থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্ত
নিয়ে আপত্তি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে। বিষয়টি নিয়ে গত ১ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশ
করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এর পাঁচদিন
পর সোমবার মঞ্জুরি কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইউজিসি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে
লক্ষ্য করছে, কিছু কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির পরামর্শ অমান্য করে অনলাইনে
পরীক্ষা গ্ৰহণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
“এমনকি দেশের
এই সংকটময় মুহূর্তে কিছু কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সামার সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম
শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম কোনভাবেই গ্ৰহণযোগ্য নয়।”
কমিশন বলছে,
“সেমিস্টার ফাইনাল ছাড়া গ্ৰেড প্রদান, মূল্যায়ন এবং কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই স্নাতক
প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, যা
বিধি সম্মত নয়। ইউজিসির সাম্প্রতিক অফিস আদেশে এ ধরনের কার্যকলাপের কথা কোথাও উল্লেখ
করা হয়নি।
“গুটিকয়েক
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে
অনতিবিলম্বে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
নভেল করোনাভাইরাস
মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য উচ্চ শিক্ষা
পরিবারের সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইউজিসি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় সরকার ইতোমধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি তৃতীয় দফায়
বাড়িয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে।