সোমবার দুই উপজেলায় এসব বাড়ি লকডাউন করা হয়।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার এ তথ্য জানান,
ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে করোনাভাইরাসে একজন মৃতের সংস্পর্শে আসার কারণে টঙ্গীবাড়ি
উপজেলার আড়িয়ল, ডুলিহাটা ও আমতলী গ্রামের ছয়টি বাড়ি লকডাইন করা হয়েছে এবং এসব পরিবারের
সদস্যদের নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
“এ সব পরিবারের বাড়ি-ঘরের চারপাশে বাঁশের প্রাচীর দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
যাতে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা না করতে পারে।”
সোমবার সন্ধ্যায় গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী জানান,
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দশটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
তিনি জানান, লক্ষীপুর গ্রামের এক জামাই নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। অন্যদিকে
লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ পাড়ার এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তারা উভয়ে সর্দি-জ্বর নিয়ে গ্রামে আসেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে
খবর পেয়ে তাদের বাড়িসহ আশেপাশের দশটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসান সাদী বলেন, “দেশের করোনা আক্রান্ত প্রবণ এলাকার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ
একটি। তারা করোনা আক্রান্ত কিনা সেটাই নিশ্চিত না হওয়া গেলেও এলাকাবাসীর নিরাপত্তার
কথা চিন্তা করে লক্ষীপুর গ্রামের দশটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।”
এদিকে, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ লিটন জানান, স্থানীয় প্রশাসন
দশটি বাড়ির লকডাউন করেছে।