৬৪ বছর বয়সে মারা গেছেন এডওয়ার্ডস। সত্তর-আশির দশকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে
নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট মাতিয়েছেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলতেন এডওয়ার্ডস। তার মৃত্যুতে
শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে তারা।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ৬টি টেস্ট ও ৮টি ওয়ানডে খেলেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে ডেনিস লিলি, ম্যাক্স ওয়াকারদের বোলিংয়ে ৫১ করেছিলেন ৪৭
বলে, ১১ বাউন্ডারিতে। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ডে করেছিলেন জোড়া ফিফটি।
তবে প্রথম তিন টেস্টের পর টানা ৫ টেস্টে আর পঞ্চাশের দেখা পাননি। ওয়ানডেতেও নেই কোনো
পঞ্চাশ।
আরেক আগ্রাসী কিপার-ব্যাটসম্যান ইয়ান স্মিথের আবির্ভাবে খুব বেশি লম্বা
হয়নি এডওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটে তার আগ্রাসী
অনেক ইনিংস, বিশাল সব ছক্কা আছে গল্পগাঁথা রচিত হয়েছে অনেক। কখনও তার ছক্কা মাঠ ছাড়িয়ে
পড়েছে পাশের রাস্তায়, কখনও দূরের লেকে।
২০১১ সালে নেলসন মেইলকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছিল তার আক্রমণাত্মক
ব্যাটিংয়ের চিত্র।
“মনে আছে, ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যখন ওপেন করেছিলাম, বিষেন সিং বেদির
বলে ৪১ রানে আউট হই। গ্লেন টার্নার (আরেক ওপেনার) মনে হয় ৩ অথবা ৪ রানে অন্য প্রান্তে
ছিল।”
“মার্লবরোর বিপক্ষে গ্রায়েম লোয়ান্সের সঙ্গে ওপেন করা একটি ম্যাচের কথাও
মনে পড়ে। আমার যখন সেঞ্চুরি হলো, গ্রায়েমের রান তখন ১৩!”
প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি ৯২টি। রান করেছেন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি।
ক্যাচ-স্টাম্পিং মিলিয়ে শিকার ১৪২টি।